জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী মরহুম জননেতা এম এ ওহাব।
চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তখনকার নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী,বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন-যোগাযোগ রাখবেন,টেলিফোন করবেন-তিনি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন,কই পাবো টেলিফোন?কারন তার বাড়ীতে ল্যান্ড ফোনের সংযোগ ছিল না।
জানেন ছবির এই বৃদ্ধ মানুষটি কে? তার সততা আর জীবন সমন্ধে জানলে
অবাক হবেন। চলাফেরা করতেন লোকাল বাসে- নিজেই চাষ করতেন তার ধানিজমিতে। সময় পেলে - কাদা মাটিতে নেমে যেতেন ক্ষেতের মাঠে।অতিসাধারণ জীবনযাপন
ছিল তার। রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের ব্যাবসা
বানিজ্য সম্পদ সব উজার করে দিয়েছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ যখন সরকার
গঠন করলো - তখন চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তখনকার
নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী , বঙ্গবন্ধু কন্যা
শেখ হাসিনা বলেছিলেন - যোগাযোগ রাখবেন, টেলিফোন করবেন - তিনি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন ,
কই পাবো টেলিফোন? কারন তার বাড়ীতে ল্যান্ড ফোনের সংযোগ ছিল না। পরে জননেত্রী
শেখ হাসিনার সুপারিশে তার হাটহাজারীর বাসভবনে টেলিফোনের সংযোগ দেয়া হয়। চিন্তা করুন
? একটা মানুষ কি পরিমান সৎ হলে তার বাড়ীতে টিভি, টেলিফোনও থাকেনা।
তিনি ছিলেন দুইবার নির্বাচিত এমপি, ছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান ও দীর্ঘ ২০
বছরেরও বেশী চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি
হয়েও - নিজের জন্য, পরিবারের জন্য কিছুই করেননি। অথচ তিনি চাইলে কিনা করতে পারতেন!!
যার কথা বলছি - তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম
সংগঠক ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী মরহুম জননেতা এম এ ওহাব। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান এর সাথে রাজনীতি করেছেন এই নেতা , তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা
রেখেছেন আমৃত্যু।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে
হত্যার পর সাহসের সাথে - ঝুকি নিয়ে আওয়ামীলীগকে - হাটহাজারী সহ উত্তর চট্টগ্রামে সংগঠিত
করেছেন -- "ওয়াহাব মিয়া"। সম্প্রতি তার পুত্র জয়নাল আবেদিন কে - হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে "চেয়ারম্যান"
পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের
সংসদ নির্বাচনে তিনি চাইলেই " নৌকার প্রার্থী
হতে পারতেন - কারন তখন তিনি উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি , ঐ আসনের নির্বাচিত একধিকবার
এম,পি -- কিন্তু দলের স্বার্থে তিনি বিত্তশালী দানবীর মরহুম নাজিম উদ্দিন কে দলের নমিনেশন
পাইয়ে দিয়েছিলেন। দলের জন্য সারাজীবন সেক্রিফাইস করে গিয়েছেন - এই মাটির মানুষটি।
এবার তার সন্তানকে - আওয়ামীলীগ মূল্যায়ন করলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে
নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়ে-- মুলত ওয়াহাব সাহবের প্রতি এটি জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবোধ। তাই আওয়ামীলীগ সভানেত্রী
শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে - তার পুত্র জয়নাল আবেদিন ভাইকে "নৌকা"
মার্কায় বিজয়ী করতে - সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। নিরীহ , বিনয়ী , চলাফেরায়
আড়ম্বরহীন অতি সাধারন এই রাজনৈতিক পরিবারের জন্য - নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সহজ হবে
তখনই - যদি সকল নেতাকর্মী এক হয়ে আন্তরিকতার সাথে নির্বাচনে কাজ করে "নৌকা"
র পক্ষে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রতি কৃতজ্ঞতা, তিনি সোনালী দিনের ত্যাগী
আদর্শবান নেতা ও তাদের পরিবারের সন্তানদের মূল্যায়ন করেন - খবর রাখেন।। আজ মরহুম এম,এ
ওয়াহাবের ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। শ্রদ্ধা ভালোবাসা
আজীবন এই মহান নেতার জন্য। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।
লেখক : হাসান
মনসুর
সাঃ সম্পাদক(সাবেক) কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ-চট্টগ্রাম মহানগর।
No comments