বেওয়ারিশ আসনের লাওয়ারিশ পাবলিক - সালেহ আহাম্মদ জঙ্গি
দেশের মানুষের সামনে পূর্বের ন্যায় ঝুলিয়ে দিয়েছে "উন্নয়ন ও আদালতের রায়" নামের চীনা মূলা।
পর্ব-১
"রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব" কিংবা
"আমরা যখন মরতে শিখেছি কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণ কি লালদিয়ার চরের ১৪ হাজার মানুষ শুনেনি?যদি শুনে তবে এর থেকে শিক্ষা নিতে পারছে না কেন? যেই বাণীতে নিরস্ত্র বাঙালি হঠিয়ে ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের,সে বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাসস্থানের মতো নাগরিকের মৌলিক অধিকার কেন আদায় করতে পারবেনা ১৪ হাজার মানুষ?
আদালতের রায়কে সন্মান জানাতে অবনত মস্তকে মুখে কুলুপ এঁটে ---- কদমে পুস্পার্ঘ নিবেদনে ব্যস্ত চট্টগ্রামের এমপি মন্ত্রী মহোদয়গণ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- লালদিয়ার চর নিয়ে যারা বেশি ঘাঁটা ঘাঁটি করছেন তাদের জন্য চৌদ্দ শিকের বাজেট প্রণয়ন হচ্ছে।
পর্ব-২
নিজ দলের সরকার ক্ষমতায়। তবুও একটুও পিছপা হটলেন না "এস এস পোর্ট" বিরোধী আন্দোলনে। এমপি মন্ত্রীরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে।ডর ভয়হীন চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। অনেকে পিছপা হলেও চট্টলবীরের ছায়াসঙ্গী হিসেবে সর্বদা রয়ে গেলেন তৃণমূল মানুষের আস্থার প্রতীক রাজনীতির চারণ কবি জননেতা আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন। মাফিয়াদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাদের সুদুর প্রসারী চক্রান্তের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝাতে সক্ষম হলেন। অবশেষে পরাজিত হলো মাফিয়া চক্র।
সেদিনের পরাজিত মাফিয়ারা থেমে থাকেনি লালদিয়ার চরের ১৪ হাজার মানুষকে বাস্তুহারা করতে শুরু করেছে নতুন খেলা। দেশের মানুষের সামনে পূর্বের ন্যায় ঝুলিয়ে দিয়েছে "উন্নয়ন ও আদালতের রায়" নামের চীনা মূলা। চট্টগ্রামের এমপি মন্ত্রীরা সেদিনের মতো আজও চুপচাপ।
চট্টলবীর নেই। তাতে কি?
এগিয়ে এসেছে চট্টলবীরের সেই ছায়াসঙ্গী তৃণমূল মানুষের আস্থার প্রতীক রাজনীতির চারণ কবি জননেতা আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন। ইতিমধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন,"পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ মেনে নেয়া হবে না"।লালদিয়া চরের মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে।তারা অন্তত বাস্তুহারা হবে না। নাগরিকের মৌলিক অধিকার আদায়ে জননেতা আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন ভাই ও পিছপা হবে না।
জনগণ জানুক চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নেই তবে তাঁর যোগ্য অনুসারী রেখে গেছেন এই চট্টলায়।
No comments