Header Ads



প্রিয় রেজাউল করিম কায়ছারের জন্য নিরন্তর শুভ কামনা-দেলোয়ার হোসেন খোকা।

প্রিয় রেজাউল করিম কায়ছারের জন্য নিরন্তর শুভ কামনা।


স্বীয় যোগ্যতায় রেজাউল করিম কায়ছার স্বমহিমায় এগিয়ে যাবে এটা আমার বিশ্বাস।

আমার অত্যন্ত প্রিয় ও ভালোবাসার একজন মানুষ রেজাউল করিম কায়ছার। লিখার জন্য লিখা নয় বরং মনের টানে আজ এ মানুষটি সম্পর্কে কিছু বলবো। ১৯৯৪ সালে আমি তখন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, তার কিছু পরে হালিশহরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান কায়ছার ২৬নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়।

আবুলিয়া স্কুল মাঠে ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলনে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়, পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে একই সাথে পথচলা। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে থানা যুবলীগের কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা থাকায় মহানগর নেতৃবৃন্দের অনুরোধে অনিচ্ছা সত্বেও ২০০৩ সালে হালিশহর থানা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব নিতে হয়েছিল আমাকে।

সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তখন পেয়েছিলাম প্রিয় কায়ছারকে। ২০০৩ সালে চন্দন ধর মসিউর রহমানের কমিটিতে আমি যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হই আর কায়ছার সদস্য হিসাবে মহানগর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৩ সালে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে আমি যুগ্ম আহ্বায়ক ও কায়ছার সদস্য নির্বাচিত হয়।

যুবলীগের রাজনীতির সূত্র ধরে দুজনে বহুবার আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক প্রিয় নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় গিয়েছি, মহিউদ্দিন ভাইয়ের নির্দেশে বহু সভা সমাবেশ সফল করার জন্য একই সাথে কাজ করেছি । মহিউদ্দিন ভাই বরাবরই কায়ছারের মেধা ও কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ ছিলেন।

মহানগর যুবলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার মত সকল গুণাবলী বিদ্যমান ছিল বিধায় আমি চেয়েছিলাম কায়ছার যুবলীগ করুক কিন্তু মহিউদ্দিন ভাই থানা আওয়ামী লীগের জন্য কায়ছারকে চিন্তা করলেন এবং আমাকে বললেন তাকে যেন যুবলীগের মিটিং মিছিলে না নিয়ে যাই।

অবশেষে থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করার জন্য প্রিয় নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ইচ্ছায় হালিশহর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের  দায়িত্ব গ্রহন করে কায়ছার। বর্তমানে দুইজন দুইটি সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সত্বেও পরিচয়ের প্রথম দিন থেকে অদ্যাবধি অত্র অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা যৌথভাবে কাজকরে যাচ্ছি।

 রাজনৈতিক এ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ আমার হয়েছে। আমার বিবেচনায় কায়ছার অত্যন্ত বিনয়ী, মেধাবী, পরিশ্রমী, কর্মীবান্ধব ও দ্বক্ষ একজন সংগঠক।

২০১৫ সালের কথা, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করার যে হীন চক্রান্ত হয়েছিল তার বিরোদ্ধে হালিশহর-পতেঙ্গা অঞ্চল  সহ সমগ্র মহানগরে আমাদের সাথে যে কয়জন যুবক মূলধারার রাজনীতির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল রেজাউল করিম কায়ছার তাদের অন্যতম।

যে কারনে আমাদের দুজনকেই অনেক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছিল। কায়ছার মহিউদ্দিন ভাইকে রাজনৈতিক অভিভাবক হিসাবে মানতেন এবং আমৃত্যু তা বজায় ছিল। মৃত্যু পরবর্তীকালেও কায়ছারকে মহিউদ্দিন ঘরনার একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে সকলে চিনেন ও জানেন। সম্প্রতি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন সহ অপরাপর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আহার গ্রহণ কে কেন্দ্র করে কতিপয় ব্যক্তি স্যোসাল মিডিয়ায় যে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে তা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।

 শিষ্টাচার বিবর্জিত এসব প্রচার প্রচারনা আমাদের সংগঠনের মধ্যে বিবেধ সৃষ্টি করবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর বিএনপি-জামায়াত হবে এর ফায়দা ভোগী। তাই সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন প্রচার প্রচারনা স্যোসাল মিডিয়ায় না করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি।

সকল অপপ্রচার ও মিথ্যার জাল ছিন্ন করে স্বীয় যোগ্যতায় রেজাউল করিম কায়ছার স্বমহিমায় এগিয়ে যাবে এটা আমার বিশ্বাস। পরিশেষে প্রিয় কায়ছারের জন্য রইল নিরন্তর শুভকামনা।
দেলোয়ার হোসেন খোকা
যুগ্ম আহবায়ক
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ-চট্টগ্রাম মহানগর।

No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.