নেতার নজরে আমি ! রেজাউল করিম কায়সার
লিখবো কি লিখবো না ভাবতে ভাবতে কেটে গেলো পুরোটা দিন । অবশেষে লিখলাম ।
যুব রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকায় নিয়মিত প্রিয় নেতার সাথে দেখা হতো দেখা
করতাম ।হঠাৎ করে একদিন নেতা অনেক মানুষের সামনে বললেন " তে ভালো কর্মী কাম গরে
" যার একটু দৃষ্টিতে পড়ার জন্য সবার কত চেষ্টা সে নেতার এই স্বীকৃতি মন প্রানকে
প্রচন্ড আন্দোলিত করলো ,দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পরিক্রমা যেন সার্থক হলো ।
এরপর থেকে যখনই দেখা হতো নেতা বলতেন "যুবলীগ নগরিছ ,আওয়ামীলীগ গর
"। আমার অনিহা দেখে একদিন বললেন " মূল সংগঠন নগরিবি ,আঁই থাইকতে জাগা গরি
ল পরে কঠিন হই যাইবু "
তবুও প্রানের সংগঠন যুবলীগ করার জন্য নানা ভাবে বলার চেষ্ঠা করেছি নেতাকে
।কিন্তু উনার একটাই কথা আমাকে আওয়ামীলীগ করাবেন ।এই জন্য তিনি বেলায়েত কাকা ,হোসেন
ভাই ,ফয়েজ ভাইয়ের সাথে ও আলাপ করেছেন ।এরি মধ্যে একদিন হোসেন ভাই ও ওয়ার্ডের আক্তার
ভাইয়ের উপস্হিতিতে বললেন "হালিশহর থানাত একজন যুগ্ন আহবায়ক আঁই তারে ও যুগ্ম আহবায়ক
গরিদিয়ুম , আঁই পারিত " চুপ চাপ ফিরে এলাম ।
আমার আনিহা বুঝতে পেরে নেতা শুরু করলেন নতুন কৌশল । যেখানেই দেখেন বলেন
"তুই বাদ, তুই কিছু পাতিনু , তুই আঁর সামনে নপরিছ" বকা দিয়ে বাসা থেকে বের
করে দিলেন দুই দিন বললেন "তুরে চাইলাম
তুই হতিনু, পদ অল্লাই মানুষ আঁর পিছে পিছে ঘুরে তুরে বানাইতাম চাইদি তুত্বে
চর্বি আইস্বি "। সৌভাগ্য আমার নেতার ভালোবাসা,শাসন, কৌশল বুঝতে আমি অন্য অনেকের
মত ভুল করি নি । এক মুহুর্তের জন্য নেতার কাছ ছাড়িনি ।এভাবে ছয় মাস চললো ।
হঠাৎ একদিন বেলায়েত কাকা ফোনে
বললেন মহিউদ্দিন ভাই ডেকেছেন । ছুটে গেলাম নেতার ডাকে । বললেন "আঁই থানার মিটিং
দিয়ুম তুই যাবি , আঁই যেন কই হেন গরিবি " জবাবে বলেছিলাম অনে যেন কঁন ,অনর কথার
বাইরে যাইতামন । নেতা খুশি হলেন ।এর পর অনেক ঘটনার মধ্যে নেতা ফয়েজ ভাইয়ের বাসায় এসে
হালি শহর থানা আওয়ামীলীগের ২ জনের কমিটিকে ২৬ জনে সম্প্রসারিত করে আমাকে দায়িত্ব দিলেন
। নেতার এই স্বীকৃতি আমার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন ।
কৃতজ্ঞ প্রিয় নেতা হাজারো কর্মীর ভীড়ে আমার মত কর্মীর দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য।
দীর্ঘজীবি হোন আমার প্রিয় নেতা ।
রেজাউল করিম কায়সার
যুগ্ম-আহবায়ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,হালিশহর থানা শাখা-চট্টগ্রাম মহানগর।
সদস্য-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ,চট্টগ্রাম মহানগর।
No comments