Header Ads



কক্সবাজার জেলার রামুর ছেলে মোয়াজ্জেম ছিল - কুখ্যাত ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীল নেতা।

কক্সবাজার জেলার রামুর ছেলে


আওয়ামী লীগের ক্ষমতার মেয়াদকাল একনাগাড়ে একযুগের বেশি হয়ে গেল,জামাত - বিএনপি রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসবে না - এটা বুঝতে পেরে এই বুদ্ধিমান ছেলে এখন রীতিমত আওয়ামী লীগ নেতা।

চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশুনা করার সময় কক্সবাজার জেলার রামুর ছেলে মোয়াজ্জেম ছিল -কুখ্যাত ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীল নেতা। আওয়ামীলীগের চরম বিদ্বেষী এই ছেলে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রশিবিরের রাজত্ব চলাকালে -সেই কলেজের ছাত্রনেতা মাহমুদুল করিমকে ধরে নিয়ে শিবিরের টর্চার রুমে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে।

মাহমুদ এর অপরাধ ছিল সে - শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত চট্টগ্রাম কলেজে - বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন করে।আওয়ামীলীগের ক্ষমতার মেয়াদকাল একনাগাড়ে একযুগের বেশি হয়ে গেল ,জামাত - বিএনপি রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসবে না - এটা বুঝতে পেরে এই বুদ্ধিমান ছেলে এখন রীতিমত আওয়ামীলীগ নেতা। অনেক ত্যাগী , আওয়ামীলীগের দুঃসময়য়ের নেতাদের ডিঙ্গিয়ে সে নিয়ে এসেছে - চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন। মুলত গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশ থেকেই এরকম অনেক মোয়াজ্জেমের খবর আসছে।

 

 ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার টিকেট প্রাপ্তিতে , হাইব্রিড বিএনপি জামাতিদের আধিক্য নিয়ে - দলের তৃনমুলের ত্যাগী নেতারা বিলাপ ধরে আর্তচিৎকার করছে, চলছে বোবা কান্না। কপালগুনে আজ অনেকেই হয়েছেন - এই দলের নীতিনির্ধারক - কিন্তু দুঃখের কথা এদের কয়েকজনের কাজ ই হল - দলের দুর্দিনের নেতাকর্মীদের অপমান করে। আর আওয়ামী বিদ্বেষীদের লাইম লাইটে আনা।

 

এই ধরনের মনোনয়ন নিয়ে আমাদের কথা বলা একরকম হ্যাংলামি মনে হয় - দলের পদ কে কাকে দিবে এটা নিয়েও কথা বলতে চাই না --- নেত্রী বেঁচে আছেন, উনার পক্ষে সব একা দেখা সম্ভব না - উনি যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন, তারা কাজটা খুব বাজেভাবে করছেন। মাহমুদ আমাদের সহকর্মী , চট্টগ্রাম কলেজে তার উপর শিবিরের এরকম নির্যাতনের কারনেই - তাকে প্রথম চিনি। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, তাকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ কমিশনারকে ধর্না দিয়েছিলাম। সেই মাহমুদ উল করিম আজ চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি , ২ দিন পর সে হয়ত আর থাকবে না ।

 

কিন্তু তার নির্যাতনকারী শিবির ক্যাডার আজ আওয়ামীলীগের কোন মহলকে মেনেজ করে কেন্দ্র থেকে নমিনেসন নিয়ে এসেছে। দলে থেকে যারা এসব ২ নং কাজ করে - তাদের বউ মেয়ে বোনরাও নিরাপদ বলে আমি মনে করি না-- যারা আদর্শকে এভাবে গলা টিপে হত্যা করে - তারা টাকা বা পদ বা ক্ষমতার জন্য বোন বা নিজের মেয়েকেও তুলে দিবে।

 

দলে নতুন অনেকেই আসবে এটা স্বাভাবিক , নতুন নতুন তারা দলে সাংগঠনিক কাজও ভালো দেখাবে - সেই খুশী পাকা করতে স্থানীয় নেতারা চাইলে তাদের বোন বা মেয়েকে এই নব্য হাইব্রিডদের হাতে তুলে দিতে পারেন -- কিন্তু এটা না করে তারা - নির্বাচন আসলেই টাকা খেয়ে - বঙ্গবন্ধুর প্রিয় প্রতীক "নৌকা" তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেন কেন্দ্রিয় নেতাদের। আমার দাবী স্থানীয় নির্বাচনে বাংলদেসের স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা প্রতীক দেওয়া বন্ধ করা হউক

হাসান মনসুর


No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.