Header Ads



চট্টগ্রাম সিটির নব-নির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী- Desh info24

নব-নির্বাচিত সচিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম সিটির নব-নির্বাচিত মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম
এম রেজাউল করিম
জন্ম:

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী পিতা: মরহুম হারুন-অর-রসিদ চৌধুরী মাতা: মরহুমা সামসুন নাহার বেগম ৩১মে ১৯৫৩ সালে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন জমিদার বংশ বহরদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী ছিলেন একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও দাদা ছালেহ আহমদ ছিলেন ইংরেজ শাসিত ভারত এবং পাকিস্তান আমলে চট্টগ্রামের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী ও চট্টগ্রামে ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত বিলুপ্ত কমরেড ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তান আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তার বড় ভাই অধ্যাপক সুলতানুল আলম চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া তার পূর্ব পুরুষেরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ২৩টি মসজিদ প্রতিষ্ঠাসহ অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন। পারিবারিক জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক রেজাউল করিম। তার বড় মেয়ে তানজিনা শারমিন নিপুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

শিক্ষা জীবন:

সাবেক বৃহত্তর পাঁচলাইশ থানায় তাঁর পরিবারের পূর্ব পুরুষেরা এলাকায় শিক্ষার প্রসারের জন্যে ১৮২০ সালে বহরদার হাটে নিজস্ব জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব ষোলশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়। উক্ত বিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে ৫ম শ্রেণী এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রী অর্জন করেন এবং তারপর আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্যে ভর্তি হন। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর হত্যার প্রতিবাদে সামরিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ লড়াইয়ে নেমে ফাইনাল পরিক্ষা দিতে পারেননি।

রাজনৈতিক জীবন:

বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৬৭ সালে কলেজ ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্য পদে ফরম পূরণের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৯-১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৭০-১৯৭১ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১নং সেক্টরের বি এল এফ এর মাধ্যমে গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এ মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৭৩-১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। পড়াশোনার জন্যে ভর্তি হয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। কিন্তু ৭৫ এর পট পরিবর্তনের কারণে সামরিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ লড়াইয়ে নেমে ফাইনাল পরিক্ষা দিতে পারেননি তিনি। পরে ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কার্য্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৭-২০০৬ সালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ২০০৬-২০১৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে পরিচিতি রয়েছে রেজাউল করিম চৌধুরীর। বর্তমানে তিনি নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রকাশিত প্রকশনাঃ

সম্পাদক-মাসিক অযুত কন্ঠ (১৯৭২),বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ১৯৭৬ সালে সামরিক শাসনকে উপেক্ষা করে “সূর্যপথ” পত্রিকা প্রকাশ করেন। পাক্ষিক পত্রিকা “বারুদ” এর সম্পাদক।

রেজাউল করিম চৌধুরী'র প্রকাশিত বই

জামায়াত শিবিরের হিংস্রতা ও ধর্মীয় রাজনীতি (১৯৯৩), কালো টাকা নির্ভর রুগ্ন রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে হবে (২০১৪), ছাত্রলীগ ষাটের দশকে চট্টগ্রাম (২০১৬) এবং স্বদেশের রাজনীতি ও ঘরের শত্র বিভীষন (২০১৯)।

ব্যক্তিগত জীবনঃ

স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রে জনক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। স্ত্রী- সেলিনা আক্তার, মেয়ে- তানজিনা শারমিন নিপুন (শিক্ষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বর্তমানে সরকারী বৃত্তি নিয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জনের জন্যে বিদেশে পড়াশোনা করছেন)।দ্বিতীয় কন্যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং ছোটো ছেলে ইমরান রেজা চৌধুরী কেমিক্যাল প্রকৌশল বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন।

গত ২৭ জানুয়ারী ২০২১ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচেনে সিটি মেয়র নির্বাচিত হন।

No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.