Header Ads



প্রসঙ্গ স্কুল ড্রেস:প্রধান শিক্ষকের বোঝা উচিৎ ছিলো,তাঁর মানবিক হওয়া দরকার ছিলো-হারুন রশিদ।

 

প্রসঙ্গ স্কুল ড্রেস

স্কুল ড্রেসবিহীন শিক্ষার্থীদের স্কুলে ঢুকতে না দেওয়া প্রসঙ্গে--হালিশহর আলহাজ্ব মহব্বত আলী সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়।

-------------------------------

অনেক সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার করোনাকালীন দুর্যোগে  ৫৪৪দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পর ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ইংরেজি তারিখে পুনরায় তা খুলে দিয়েছে।


এই দেড় বছরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ ভয়ানক এক ক্রান্তি কাল অতিক্রম করেছে,যা এখন ও চলমান।


বাংলাদেশের অধিকাংশ অভিভাবক নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। এই করোনা মহামারি তাঁদের জীবনকে যেভাবে লণ্ডভণ্ড করে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।তাঁরা আল্লাহ্'র উপর ভরসা করে আবার জীবন যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে নিজেদের ব্যস্ত রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন।আমাদের সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ,আপনারা আমার অভিবাদন গ্রহণ করুন।


দীর্ঘ বিরতির পর স্কুল পুনরায় খোলাতে শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবক  ও খুশি।কিন্তু ইতোমধ্যে আমাদের বাচ্চাদের স্কুল ইউনিফর্ম ছোট হয়ে গে'ছে, জুতা ছোট হয়ে গে'ছে।যেখানে বাবা-মা জীবন-জীবিকার কঠিন সমন্বয়ে সংসারের দৈনন্দিন খরচ মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সন্তানদের স্কুল ইউনিফর্মের খরচকে "জরুরী" ভেবে তার পেছনে খরচের মতো টাকা এই মুহুর্তে জোগাড় করতে সক্ষম হবেন,এমন ধারণা আমাদের হবে কেনো??


একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্কুল এসেম্বলি,স্কুলড্রেস,সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদি যে শৃঙ্খলার অংশ,তা বেশ ভালো করেই জানেন।কিন্তু এই দুর্যোগ-দুর্ভোগের এই সময় তাঁদের তা বাধ্য হয়েই সাময়িকভাবে পাশে সরিয়ে রাখতে হয়,তা একজন প্রধান শিক্ষকের  বোঝা উচিৎ ছিলো ,তাঁর মানবিক হওয়া দরকার  ছিলো।


 শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াকে সঙ্গত কারণে সরকার পরীক্ষামূলক  বলেছেন।পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ও হতে পারে।

--------------------------------------


এমতাবস্থায়,আমাদের স্কুলে ইউনিফর্ম ছাড়া ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতির সংবাদ একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ও চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য দৈনিকে প্রচারিত হয়েছে,যা প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের জন্য বিব্রতকর।

-------------------------------------


১৯৬৮ সালে এলাকায় উচ্চ শিক্ষার আলোকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে চট্টল শার্দুল মরহুম জননেতা এম এ আজিজের সহোদর মরহুম এম এ মজিদ এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।শহরের অন্যান্য অনেক এলাকার তুলনায় অত্র এলাকার সাধারণ জীবন মান পশ্চাৎপদ বিধায় সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে।স্কুলের সাথে আমি প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত।


এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আমার অনুপস্থিতিতে সংগঠিত হলে ও আমি নিজেকে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া থেকে বিরত রাখবো না।

আপনাদের স্কুল সরকারি  ও সামাজিক  নিয়মনীতি মেনে আপনাদের জন্যই সুনামের সাথে মর্যাদার সাথে চলবে,ইনশাআল্লাহ্।

আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

  "দুষ্টু গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো"।


হারুন রশিদ:সদস্য:হালিশহর আলহাজ্ব মহব্বত আলী সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ,

হালিশহর আলহাজ্ব মহব্বত আলী সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম এম এ মজিদর(সাবেক এম,এন,এ)সুযোগ্য সন্তান।

No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.