কর্নফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের দাবীতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলন।
কর্নফুলী নদীর তলদেশে টানেল অথবা ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণের দাবীতে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলন।
আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী
বিএনপি জামায়াত জোট সরকার আমল অর্থ্যাৎ ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী তার নির্বাচনী ইশতাহারের তৃতীয় দফায় বলেছিলেন, কর্ণফুলী নদীর ওপর সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে বিওটি ভিত্তিতে ঝুলন্ত ব্রিজ অথবা নদীর তলদেশে টানেল এবং কালুরঘাটে সড়ক ও রেল চলাচলের উপযোগী নতুন সেতু নির্মাণ করবেন। সেই নির্বাচনে প্রায় লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করেছিলেন তিনি।
এরপরেই বিএনপি জামায়াত জোট সরকার কর্ণফুলী নদীর ওপর ঝুলন্ত ব্রিজের পরিবর্তে একটি পিলার সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। প্রতিবাদে ফেটে পড়েন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। কোনভাবেই চট্টগ্রামের কর্নফুলী নদীর বুকে পিলার বসাতে দেবেন না তিনি। ২০০৬ সালে ৪ দলীয় জোট সরকার তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাস খানেক আগে খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম এসে কর্নফুলী নদীতে পিলার সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন বীর চট্টলার সিংহপুরুষ। চট্টগ্রামে খালেদা জিয়া, জর্জ ডাব্লিউ বুশও তার জনপ্রিয়তার কাছে হার মানবে। তিনি পাল্টা কর্মসূচী দিলেন। কর্নফুলী নদীর পাশে গিয়ে তিনি উড়াল সেতু নির্মাণের জন্য আলাদা কার্যালয় বানালেন। ভাবতে পারেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বুকের পাঠা কত বড় ছিলো?
তৎকালিন সময় সিটি কর্পোরেশন সর্বোচ্চ আয়কর পেতো ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু দেশপ্রেম, জনগনের প্রতি ভালোবাসা থাকলে সবকিছুই করা যায়। নিজস্ব অর্থায়নে যেমনটি পদ্মাসেতু নির্মান করেছেন আমাদের জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। যদিও সেই যাত্রায় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এক এগারো সরকার ক্ষমতা গ্রহন করে দেশের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বিনা বিচারে ২ বছর জেলে আটক রাখে।
তাকে জেলে আটক রেখে কর্ণফুলি নদীর বুক কেটে পিলার সেতু নির্মান শুরু করেন তারা। সেই থেকে কর্নফুলী নদীর অপমৃত্যু ঘটে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের গেথে রেখে ফেলে যাওয়া সেতুটি পূর্ণাঙ্গ করতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে শতশত কোটি টাকার ড্রেজিং শুরু করে কর্ণফুলি নদীতে। আজো দেশের টাকা জলে যাচ্ছে খালেদা জিয়া ও এক এগারো সরকারের কারনে।
নুরুল আজিম রনি'র facebook থেকে
No comments